১. আল্লাহ্ তা‘আলা শেষ বিচার দিবসে বলবেন, “আমার বন্ধুগণকে আমার নিকটবর্তী করে দাও।” ফেরেশতাগণ আবেদন করবে,“কারা আপনার বন্ধু?” তিনি বলবেন,“দরিদ্র মুসলমানগণ।” অতএব, তারা তাঁর নিকটবর্তী হবে। তখন আল্লাহ বলবেন, “আমি ইহজগতকে আমার নিকট তোমাদের হীনতার জন্য তোমাদের থেকে দূরে রাখেনি, বরং এটা দ্বারা আজকের দিবসে তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে ইচ্ছা করেছি। অতএব, আজ তোমরা যা ইচ্ছা চাও।” তাদেরকে ধনী ব্যক্তিবর্গ থেকে চল্লিশ বৎসর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবার জন্য অনুমতি দেয়া হবে। আবুশ শায়খ আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আনাস (রা) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
২. শেষ বিচার দিবসে সকল মানুষকে একত্র করা হবে, তখন জিজ্ঞাসা করা হবে, “এ উম্মতের গরীব ও নিঃস্ব ব্যক্তিরা কোথায়?” তারা এস সামনে দাঁড়াবে। তাদেরকে বলা হবে, “তোমরা কি আমল করেছ?” তারা বলবে, “হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে পরীক্ষা করেছিলে এবং ধৈর্যধারণ করেছিলাাম। তুমি পার্থিব বিষয়াদি ও রাজত্ব আমাদের ছাড়া অন্য ব্যক্তিদেরকে দিয়েছিলেন।” আল্লাহ্ বলবেন, “তোমরা সত্য কথা বলেছ।” অতএব, তারা অন্য মানুষের অপেক্ষা এক দীর্ঘকাল পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর শাসন পরিচালক ও রাজত্বের অধীকারীদের জন্য কঠিন শাস্তির অপেক্ষা করতে থাকবে। জনগণ জিজ্ঞাসা করল, সে দিন মু‘মিনগণ কোথায় থাকবে? রসূলুল্লাল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তাদের জন্য সেদিন আলোর তৈরি আসন থাকবে। মেঘ তাদের উপর ছায়া দান করবে। সেদিনটি মু‘মিনদের জন্য একটি ঘন্টা বা এক মুহূর্ত মনে হবে” তিবরাণী আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
৩. গরীব মুসলমানগণ শেষ বিচার দিবসে কবুতরের ন্যায় তাড়াতাড়ি চলবে। তাদেরকে বলা হবে, “হিসাবের জন্য থাম।” তারা বলবে,“ আল্লাহর কসম! আমরা এরূপ কিছু ছেড়ে আসেনি, যার জন্য আমাদের হিসাব নেয়া হবে।” তখন মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ্ বলবেন, “আমার বান্দাগণ সত্য কথা বলেছে।” অতএব, তারা অন্য মানুষ অপেক্ষা সত্তর বৎসর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিবরানী আলোচ্য হাদীসখানা হযরত সাঈদ ইবনে আমের ইবনে হুজায়মের সূত্রে বণূনা করেছেন।
Leave a Reply